ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয় কতবার এবং এর কারণ ও ফলাফল কি ছিল

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয় কতবার - ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসিত ভারত কে ধর্মীয় কারণে দুটি ভাগে বিভক্ত করার ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়। কিন্তু এ দেশ দুটি ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের ফলে স্বাধীন হলেও তাদের জাতিগত বৈরিতা যেন কখনোই পুরোপুরি সমাপ্ত হয়নি। 


ভারত পাকিস্তানের সংঘর্ষের ইতিহাস দীর্ঘ। দুটি রাষ্ট্র স্বাধীন হলেও যেন তারা পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেনি। তাদের এই বিরোধের মূল কারণ হলো সীমান্ত ভূখণ্ড কাশ্মীর।এই কাশ্মীর খণ্ডকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংঘাত, সংঘর্ষ ও যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ কতবার হয়েছে সে বিষয়কে কেন্দ্র করে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। 



ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয় কতবার এবং এর কারণ ও ফলাফল কি ছিল



ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয় কতবার

১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ইতিহাসের পাতায় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে এ পর্যন্ত চারটি বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এই যুদ্ধ চারটি ছাড়াও ভারত পাকিস্তান সীমানাকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে কাশ্মীর ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।


প্রতিটা যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে তা বন্ধ হলেও একেবারে চিরদিনের জন্য কখনোই যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। বরং ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন সময় গোলাগুলি, হামলা-পাল্টা হামলা লেগেই রয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মানুষের প্রাণ গেছে। তবুও যেন ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ, হামলা সংঘর্ষ কোন ভাবে থামার নয়। 


ভারত পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব যেন চিরন্তন। তাইতো ২০২৫ সালে এসেও ভারত পাকিস্তানের কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে যুদ্ধের দামামা বাতাসে ভাসছে। এর সূত্রপাত বাইশে এপ্রিল ২০২৫ জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা।


২০২৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে পরে আসছি। আগে জেনে নেই ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ভারত-পাকিস্তান দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে এ পর্যন্ত যে চারবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে সে যুদ্ধের সময়কাল এবং কারণ সম্পর্কে। 


ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের ইতিহাসে এ পর্যন্ত মোট চারটি বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।এর প্রত্যেকটি যুদ্ধই ভারত পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করে গিয়েছে। 


ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ—

• ভারত পাকিস্তান প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়- ১৯৪৭-১৯৪৮ সালে প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধ। 

• ভারত পাকিস্তানের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়- ১৯৬৫ সালে। 

• ভারত পাকিস্তানের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়- ১৯৭১ সালে। এ যুদ্ধটি বাংলাদেশ পাকিস্তানের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সংগঠিত হয়। 

• ভারত পাকিস্তানের চতুর্থ যুদ্ধ সংঘটিত হয়- ১৯৯৯ সালে যা কারগিল যুদ্ধ নামে পরিচিত।



ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের কারণ

ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ দীর্ঘ দিনের পুরনো ইতিহাস। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের ও সংঘাতের মূল কারণ হলো কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এবং ধর্মীয় ও আদর্শগত পার্থক্য। কাশ্মীর ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে একাধিকবার সশস্ত্র যুদ্ধ ও সংঘাত সংঘটিত হয়েছে।


ভারত পাকিস্তানের সশস্ত্র যুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের কারণে সাময়িক অস্ত্রবিরতি হয়েছে মাত্র কিন্তু কখনোই দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা আসেনি। বারবার সীমান্তে অস্ত্র সংবরণ চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে; যার ফলে ভারত পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় ধরে অচল অবস্থা সংঘটিত হয়েছে। 


নিম্নে ভারত পাকিস্তানের বিভিন্ন সময়ের চারটি বড় যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল সংক্রান্ত তথ্য নিচে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয়েছে। 


প্রথম যুদ্ধ : ১৯৪৭-১৯৪৮ সালে প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধ। ভারত পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় মূলত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ কে কেন্দ্র করে। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। 


তৎকালীন মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ কাশ্মীরের মহারাজা হিন্দু ছিলেন। ফলে পাকিস্তান কাশ্মীর ভূখণ্ডকে নিজেদের নিজেদের অংশ হিসেবে পেতে সমর্থন দেন স্থানীয় মিলিশিয়াদের। 


কাশ্মীরের মহারাজা হিন্দু হওয়ায় তিনি ভারতের সঙ্গে যোগ দেয়ার পক্ষে গেলে ভারত সরাসরি কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ করে। এর ফলে ভারত এবং পাকিস্তান সমর্থিত মিলিশিয়াদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়; পরবর্তীতে এ যুদ্ধে যোগদান করেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।


১৯৪৯ সালের একই জানুয়ারি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরোধী কার্যকর হয়। সমঝোতার ভিত্তিতে একটি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) টেনে কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয়। এ রেখা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ থাকে ভারতের নিয়ন্ত্রণে এবং পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকে কাশ্মীরের বাকি অংশ অর্থাৎ আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট বাল্টিস্তান। 



ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয় কতবার এবং এর কারণ ও ফলাফল কি ছিল



এছাড়াও জাতিসংঘ কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য গণভোটের আহ্বান জানায়।কিন্তু এতে ভারতের আপত্তি থাকায় আজও তা সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ কাশ্মীর একটি সংবাদপূর্ণ এলাকায় রূপ নেয়। ভারত পাকিস্তানের কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে এই বিরোধ দীর্ঘ সময়ের অচল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। 


দ্বিতীয় যুদ্ধ : ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান এর মধ্যে দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৬৫ সালে পুনরায় দুই দেশের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে অপারেশন জিব্রাল্টার চালিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে। ফলে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করতে ভারত বাহিনী আক্রমণ চালায়। 


ভারত পাকিস্তানের এই আক্রমণ ও পালটা আক্রমণ দ্রুত যুদ্ধে রূপ নেয়। পাঞ্জাব ও কাশ্মীরের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। লাহোর ও শিয়ালকোটের দিকে অগ্রসর হয়ে ভারত পাড়াটা আক্রমণ চালায়। 


দ্রুতই সংঘাত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে যুদ্ধ শুরু হয়। ভারত পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং লাহোর ও সিয়ালকোটের দিকে অগ্রসর হয়। 


পুনরায় ১৯৬৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে দু দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরোধী হয়। এবং ১৯৬৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ দুই মাসের সাংঘর্ষিক যুদ্ধের ইতি টেনে তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 


এর ফলে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ পূর্ববর্তী কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ রেখা পুনরুদ্ধার হয়।এবং পুনরায় কাশ্মীরে অচল অবস্থা শুরু হয়। এতে আঞ্চলিক অবস্থার কোন পরিবর্তন আসেনি। ভারত পাকিস্তান উভয় দলই নিজেদেরকে বিজয় দাবি করেন। 


তৃতীয় যুদ্ধ : ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান এর সেনাবাহিনী অর্থাৎ বর্তমান পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের অর্থাৎ বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশের বেসামরিক জনগণের উপর গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানের সামরিক ভয়াবহ দমন ফলে পূর্ব পাকিস্তানের ভারত অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের জনগণ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। 


পাকিস্তান ভারতের পূর্ব শত্রু হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের অর্থাৎ বাংলাদেশের উপর চালিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সামরিক সহায়তা দেয় ভারত। 


সর্বাত্মকভাবে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে; অন্যদিকে পশ্চিম সীমান্ত যুদ্ধ শুরু হয় যদিও এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৩ দিন। 


ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ হয়। 


পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর চুক্তি অনুযায়ী পুনরায় যুদ্ধ বিরোধী রেখা কে নিয়ন্ত্রণ রেখা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। 


চতুর্থ যুদ্ধ : ১৯৯৯ সালের মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত জন্ম ও কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীরা অনুপ্রবেশ করে উচ্চভূমি দখলের কৌশলগত চেষ্টা চালায়। 


ভারত 'অপারেশন বিজয়' এর মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের হটাতে পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে ভারত।জুলাই মাসের মধ্যে ভারত তাদের হারিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ এলাকা পুনরুদ্ধার করে। 


এই যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান।এছাড়া পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র সহ আন্তর্জাতিক ভাবে কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়ে। 


এই যুদ্ধ সীমিত আকারের হলেও আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তান ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এবং কূটনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়ে।



২০২৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হলে কে জিতবে : পেহেলগাম হামলা

২০২৫ সালের ২২শে এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক ও পর্যটক নিহত হয়। এদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন নেপালের নাগরিক ছিলেন।ভারত এই হামলার দায় দিচ্ছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়ব এর সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠনকে। এবং এই হামলায় পাকিস্তান সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ভারত। 



ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয় কতবার এবং এর কারণ ও ফলাফল কি ছিল



এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি ভাবে  ভারত পাকিস্তান নানা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কে পদক্ষেপে সিন্ধু পানি বন্টন চুক্তি, ভিসা ও আকাশ সীমা ব্যবহার, এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারত অনুমতি স্থগিত করেছে।


এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও শিমলা চুক্তি , ভিসা ও আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি স্থগিত করেছে। ভারত পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ রেখা সীমান্তে যুক্ত বিরতি লঙ্ঘন করে রাতের বেলা টানা ৮ দিন সংঘর্ষ চলে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


৭ই মে ২০২৫ অপারেশন সিঁদুর নামে ভারত একটি সামরিক অভিযানের অধীনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে। ভারত এ হামলার দাবি করে যে, পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত কথিত সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্যে ভারতকে হামলা চালায়।


ভারত দাবী করে, পাকিস্তানের কোন সামরিক স্থাপনায় তারা হামলা চালায়নি। তারা হামলা করেছে জইশ ই মুহাম্মদ এবং লস্কর-ই তৈয়্যেবা সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করাই ছিল তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য। 


এই হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান দাবি জানায় , ভারত পাকিস্তানের মসজিদসহ বেসামরিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ফলে এতে পাকিস্তানের ৩১ বেসামরিক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছে। 


পাকিস্তানের দাবি করে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বেশ কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তান সেনারা ভূপাতিত করে ভারতীয় অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। ভারত জানায় , ১৫ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে গোলাবার্ষনে প্রাণ হারায়


জবাবে পাকিস্তান দাবি করে তারা বেশ কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ভারতের অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে গোলাবর্ষণে ১৫ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়।


৮ ই মে  ২০২৫ ভারত দাবি করে, ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তান ড্রোন ও খোকনোত্তর হামলা প্রতিহত করে। পাকিস্তানের হামলার জবাবে ভারত SEAD/DEAD  অপারেশন চালায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে।


পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দুই দেশের মিডিয়া একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে।


পাকিস্তান সরকার ভারতের বিপক্ষে যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীদের গ্রীন সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছেন। তাই ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে পুনরায় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের  দামামা বাতাসে ভাসছে। তবে আশা করা যায় যে, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে পুনরায় ভারত পাকিস্তানের এই সম্ভাবনায় যুদ্ধের অবসান হবে। 


ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেই পারমাণবিক ক্ষমতার অধিকারী। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হলে কে জিতবে এ বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলে লিখতে গেলে আর্টিকেলটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। তাই অন্য কোন এই বিষয়ে আর্টিকেলে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। 

Post a Comment

0 Comments